Loading...

রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র

06. বিধি বিধান

রাজনীতির উত্থান পতনে নেতা নেত্রীর স্বার্থ রক্ষায় বিধি বিধান।

স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরে ও রাজনীতির মূল্যায়ন দৃশ্যমান হয়নি। শুধু কালক্ষেপন, সময়ের পরিবর্তন। কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব গণতন্ত্রের পূর্ণ রুপদান প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। শুধু কথায় ছিল গণতন্ত্র আর কাজে ছিল স্বৈরাচারী মনোভাব। দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক পরিবর্তন নেই বলে প্রতীয়মান। জনমানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিছবি নিস্ফল। সর্বক্ষেত্রে কাহারো কোন ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দারিদ্রের হার নিম্নমূখী- যাহার মাত্রা ৭৭% এর নিচে। মূল কারন হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, রাজনীতিতে বৈষম্য প্রতীয়মান। সকল ক্ষেত্রে অবিচার-অসমাচার সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতির সমীকরন, রাজনীতির নিয়ম নীতির দালিলীক নীতিকথা অনুপস্থিত। জনমানুষকে একাতরে আনার কোন সাংবিধানিক পথ সৃষ্টি হয়নি। যাহার ফলে একবিংশ শতাব্দির প্রথম প্রহরে অগোছালো রাজনীতি পরিলক্ষিত। রাজনীতি গণতন্ত্রের মূল কারিগর। যাহার নীতি নৈতিকতা সমাজে প্রতিষ্ঠা করা একান্ত কাম্য। রাজনৈতিক প্রতিভা গণতন্ত্রেও চালিকাশক্তি। এই চালিকাশক্তি গঠনের জন্য চাই সঠিক নিয়মতান্ত্রিক নীতিমালা। এই নীতিমালা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন। আরো প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং জনগণকে রাজনীতিতে সামিল বা উদ্ভুদ্ব করা, বিশেষ কওে জনগণের স্বার্থ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ সম-অধিকারে দেখা। সম-অধিকার সমাধানে বা উত্তরণের জন্য চাই নতুন ধারার রাজনীতি। যে রাজনীতি সকল বৈষম্যের অবসানে হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে। বিশেষ করে জনগণকে রাজনৈতিক ভাবে সঠিক পথে চলার পথ প্রদর্শক হিসাবে ”রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” বই খানা সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন। রাজনীতির সমীকরণে জনমানুষকে এক কাতারে শামিল করার জন্য রাজনৈতিক সংবিধানকে রাজনৈতিক সংস্কার করা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৃষ্টির মূল প্রতিবন্ধক দূর করার প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ। রাজনীতি একটি কর্মপন্থার নাম, মৌলিক অধিকারের নাম। যার দ্বারা সমঅধিকারের পথ সৃষ্টি। রাজনীতি ভালো মন্দের ভারসাম্য রক্ষা প্রতিফলন এবং রাজনীতিতে হতাশা দূর করার স্বপ্ন- শ্রেণীবিন্যাস মানুষিক বিবেচনাকে মূল্যায়ন দেওয়া। রাজনীতিবিদদের মূল্যায়ন করা গণতন্ত্রের আর একটি ধাপ। রাজনৈতিক দলের দলীয় নেতানেত্রীদের আর্থিক স্বচ্ছলতার পথ দেখানো। কথায় আছে কোন মানুষ বিনা স্বার্থে মাঠে দৌড়ায় না। যেখানেই মূল্যায়ন সেখানেই স্বার্থ থাকতে হবে। চাকুরীর জন্য শিক্ষার প্রয়োজন। পরিশ্রমের ফলন চাকুরী এবং মাস শেষে বেতন ভাতা পাওয়া অনিবার্য। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মীরা দলীয় কর্মচারী তাদের পরিবার সংসার আছে।তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব অভিভাবকদের। দূর্নীতি ও অনৈতিক কাজের মাত্রা বা বেকারত্বের অভিশাপ দূর করার জন্য রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ভাতা দেওয়ার জন্য সংস্কার প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ছোট রাষ্ট্রটির জন্য ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ মৌলিক অধিকার। কারণ একবিংশ খ্রৃষ্ঠাব্দের ৫০ সালে এসে লোকসংখ্যা দাড়াবে ৩৬ কোটির মত। এখানেও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকবেলা। রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে যৌথ দলীয় ব্যবস্থা অনিবার্য। চাকুরীজীবিদের মূলধন শুধু মেধা ও শ্রমশক্তি আর সততা। তাহার সততা সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করার একমাত্র পথ। আর রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের ক্ষমতা ও সঠিক সহযোগীতা পাওয়া দেশ গড়ার কাজে মাইল ফলক ব্যবস্থা। বিশেষ করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতানেত্রী দেশের জন্য কল্যাণকর। তাদের সততা উচ্চ আসনে নেওয়ার সিড়ি। পৃথিবীর সর্ব প্রান্তে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সর্বস্তরে শিক্ষিত পেশার বিকল্প নেই। রাজনৈতিক সংস্কার হলে দলীয় ক্ষেত্রে নির্বাচনের ব্যয়ভার তাহার নিজ দল বহনে সক্ষম। কোন ব্যক্তির অর্থদন্ড কাম্য নহে। এখানে শিক্ষিত ব্যক্তির মূল্যায়ন হবে। দলীয় গণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। রাজনৈতিক সংস্কার পদ্ধতি রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের মূল্যায়ন ১০০ ভাগ নিশ্চিত হবে। রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ফলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পেনশন ভাতা তাহার মৃত্যু পর্যন্ত চাকুরী শেষে বেতন পাওয়ার অধিকার সংরক্ষন হবে। তাহার মৃত্যুর পরে তাহার দেওয়া নমিনী আরোও ১২ বছর পর্যন্ত বেতন পাওয়ার অধিকার রাখবে। যদি পরবর্তীতে তাহার পরিবারে প্রতিবন্দি বা তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য থাকে তাহার আজীবন অর্থ ভাতা পেয়ে থাকবেন। এখানে তৃতীয় লিঙ্গকে সমাজে বসবাসের অধিকার সংরক্ষণ হবে। রাজনৈতিক দলীয় নেতানেত্রীদের দলীয় কর্মকর্তা / কর্মচারী বলার অধিকার রাখে। তাদের আর্থিক সহযোগীতার জন্য কোন একাধিক বার নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হলে ( ৪ x ২ = ৮ বছর) তাহার বেতনভাতা ও ১০% ভাতা কর আরোপে কর্তন করা হবে। তাহার বয়স সীমা ৫০-৬৫ বছর অতিক্রম হলে সরকারী অনুদান হিসাবে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন ভাতা দলীয় কোটা হতে প্রাপ্য হবেন। কোন প্রকার অনিয়ম প্রমাণিত হলে পেনশন ভাতা বাজেয়াপ্ত হবে। ফলে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। নীতি নৈতিকতার প্রসার লাভ হবে। কিন্তু বেতন ভাতার অধিকার শুধু যৌথদলীয় সংগঠন ১,৬০,৫০০ টির এবং ইহার নেতানেত্রীর সদস্য সংখ্যা ৯.১৩ লক্ষ পর্যন্ত ক্রমে উক্ত ভাতার আওতায় থাকবে। ২১ লক্ষ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আর্থিক ভাতার রাজনৈতিক দলীয় কোটায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। রাজনৈতিক যৌথদলীয় সংগঠন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নেতানেত্রীর অফিস সময় সরকারী নিয়মে বিদ্যমান থাকবে। কারন তাদের উপস্থিতিতে সেবার মান উন্নতি হবে।