“পরম করুনাময় মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি”
মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে সামাজিক গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আত্নপ্রকাশ নূতন দল আদর্শ গণতান্ত্রিক দল (Ideal Democratic Party), যাহা রাজনীতিতে নূতন সংযোজন, জনগণের আশা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন। কোটা আন্দোলনের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যে সকল সংগ্রামী ছাত্র-জনতা আত্নাহুতি দিয়েছেন তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা এবং সৃষ্টিকর্তার নিকট জান্নাত কামনা করছি, তাঁদের স্মরণে উৎসর্গ করে একটি নতুন দলের যাত্রা শুরু, সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে-যার নাম আদর্শ গণতান্ত্রিক দল (Ideal Democratic Party) যে কোন সময় শূভ সূচনা একজন মহান ব্যক্তির দ্বারা অলংকিত। উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে আদর্শ গণতান্ত্রিক দলকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্য কামনা করছি। আদর্শ গণতান্ত্রিক দলকে জনগণের দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে, যার কর্মপন্থা রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ দ্বারা পরিচালিত এবং এই দলের কর্ণধার রাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা অলংকিত হবে। আমি শুধু উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে জনগণের সাথে দেশ গড়ার কাজে আত্ননিয়োগ করবো। এই দলের নিবেদন, গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে দেশের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে আমার প্রচেষ্টা নতূন রাজনৈতিক দল “আদর্শ গণতান্ত্রিক দল” (Ideal Democratic Party) । এই দলের আদর্শকে উৎসর্গ করিলাম মানবতার আদর্শে বাঙালী জাতীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়ক “আবু সাঈদকে” যিনি কোটা আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে শহীদ হয়েছেন, দুঃশাসনের নিষ্ঠুর বর্বরতার সাক্ষী হয়ে আজীবন থাকবেন, যত দিন রবে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমান-ততদিন স্মরণ তোমাকে, কৃত্তি তোমার বাংলামায়ের কোলে -গর্ব আমাদের সকলের। রাজনৈতিক মহান ব্যক্তিবর্গের আদর্শের আলোকে ও রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমার স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার বাস্তবতার নিরিখে ১৮.৪৫ কোটি জনগণকে সাথে নিয়ে নূতন রাজনৈতিক দলের পথ যাত্রা আগামী দিনের বাস্তবতা। দলীয় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৮.৪৫ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমার আশার আলো “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র”, এর ধারা ও গণতান্ত্রিক পথে পথচলা, সোনার বাংলা গড়ার কান্ডারীরূপে নূতন দল হিসাবে আত্নপ্রকাশ ”আদর্শ গণতান্ত্রিক দল” (Ideal Democratic Party) সকল বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েই কর্মের পথে নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যক্তয় আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশকে। ধৈর্যশীল ও সহিষ্ণুতা এবং ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে বাঙালী জাতিকে আদর্শ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক বেশী হবে নতুন দলের । পক্ষান্তরে, রাজনৈতিক নুতন সংবিধান রচনায় আমার অকান্ত পরিশ্রমের ফসল নূতন রাজনৈতিক দল ”আদর্শ গণতান্ত্রিক দল” (Ideal Democratic Party) জনগণের কল্যাণে আত্ননিয়োগ যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্বের মাঝে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর সংকল্প ব্যক্তয় করে নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে আধুনিক গণতন্ত্রের জয় যাত্রায় রাজনৈতিক দলের বহরে আত্নপ্রকাশ নূতন রাজনৈতিক দল "আদর্শ গণতান্ত্রিক দল" (Ideal Democratic Party) । নতুন দলের জয়যাত্রায় নবীন-প্রবীণ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সেনাদের নীতি-নির্ধারক কোটায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা মূল লক্ষ্য। ২০৫০ সালের ভিশনে আমার প্রচেষ্টা সকল রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বের আদর্শে গড়া নূতন দল হিসাবে যৌথদলের অধিকার সংরক্ষণ করবে। নূতন ধারা রাজনীতি প্রবর্তন আধুনিক গণতন্ত্রের চলার পথে সাথী হয়ে আমার নূতন দল যে কোন জোট বদ্ধ দলে সংপৃক্ত হিসাবে আত্নপ্রকাশ হবে, যৌথদলের কাতারে সামিল হওয়ার একাত্ততা ঘোষণায় বদ্ধ পরিকর থাকবে। এই দলের কর্ণধার হিসাবে রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গকে তার নিজ দলের অস্তিত্ব বজায় রেখে আত্ননিয়োগ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জ্ঞাপন করছি। তাদের নিজ নিজ দলের অস্তিত্ব বজায় রেখে যৌথদলে সম্পৃক্ততার সম্মতি জ্ঞাপনে আশাবাদী। সর্বজনাব ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম-লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম-বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি-নাজিউর রহমান), গোলাম মাওলা রনি (সাবেক সংসদ সদস্য) এবং ড. রেজা কিববিয়া, অর্থনীতিবিদ ও গণ অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক। পক্ষান্তরে, ধারাবাহিক কর্ণধার হিসাবে আত্নপ্রকাশ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সেনাদের যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বে আনা আদর্শ নীতির বহিঃপ্রকাশ। বিশেষ করে স্বৈরাচার পতনের পর নূতন দিগন্ত সূচনায় আমরা গর্বিত। আমাদের আদর্শের মহান পুরুষ মানবতার মহানায়ক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান, মহামান্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মহাম্মদ ইউনুসকে এবং সকল উপদেষ্টাকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও সালাম, আরো সালাম জানাই মাননীয় সেনা প্রধাণ কে । দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আপনাদের সুদূর প্রসারিত প্রতিভার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আগামী দিনের সুদূর প্রসারী কর্মপন্থার সাথে সহযোগী হিসাবে আমার দলের আত্নপ্রকাশ এবং আমার দল গর্বিত। রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক ধারায় নতুন সংবিধান রচনা দেশের গতিশীল রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। দেশের বর্তমান সংবিধানের আলোকে রাজনীতির নতুন সংবিধান ধারা শতভাগ অর্জন, রাজনৈতিক নতুন সংবিধানে ভোটের অধিকার ফিরে আনা এবং ফিরে আসবে দলীয় সংস্কারের পথ, নূতন ধারার রাজনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে দিক-নিদের্শনা ও মূল ধারা হিসাবে প্রতিফলিত,
১ম ধারাঃ গণতন্ত্র বিকাশে রাজনীতির মূল্যায়ন । ২য় ধারাঃ রাজনীতিতে জনগণের অধিকার অর্জন এবং বাস্তবায়ন । ৩য় ধারাঃ রাজনীতিতে যৌথদল প্রতিষ্ঠা এবং দলীয় অধিকার সংরক্ষণ। ৪র্থ ধারাঃ রাজনৈতিক দলীয় সংগঠন প্রথা প্রচলন এবং প্রতিফলন। ৫ম ধারাঃ প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে শাসন ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ । ৬ষ্ঠ ধারাঃ যৌথদলীয় উন্নয়নে আর্থিক তহবিল ব্যবস্থা ও সুষম-বন্টন । ৭ম ধারাঃ শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণ । ৮ম ধারাঃ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও রাজনীতিতে দলীয় নিবাচন প্রবর্তন । ৯ম ধারাঃ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গতিশীল বিচার ব্যবস্থা । ১০ম ধারাঃ ধর্মীয় অর্ধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সকল বিষয় নিরপেক্ষ ভূমিকা । ১১ম ধারাঃ স্বাস্থ্য সেবা আধুনিকায়নে গতিপথ পরিবর্তন। ১২ম ধারাঃ সমাজ ব্যবস্থায় দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং যানজটমুক্ত নগর প্রতিষ্ঠা। ১৩ম ধারাঃ জাতীয় পর্যায় প্রবাসী মূল্যায়ন ও গতিশীল অর্থনীতি সহয়াক। ১৪ম ধারাঃ বহিঃবিশ্বের সাথে বন্ধুত্ব নীতিতে রাজনৈতিক অধিকার স্থাপন। ১৫ম ধারাঃ মানবাধিকার প্রশ্নে রাজনৈতিক অধিকারের উত্তরণ।
উপরোক্ত ধারাগুলো বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্রের সুফল বয়ে আসবে, দেশ উন্নত দেশের কাতারে প্রতিষ্ঠিত হবে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশের শান্তি রক্ষায় “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” যে কোন বিষয় সমাধানে সক্ষমতা রাখবে। ফলে দেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি ফিরে আসবে। বিশেষ করে নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি সবিনয় অনুরোধ, যদি আমার লিখিত “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” এর গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত করার হয়, তাহলে বন্ধ হবে আগামী দিনের সকল রাজনৈতিক অস্থিরতার পথ, চলে আসবে মানবতার আদর্শ, দূর হবে রাজনৈতিক হানাহানির পথ, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান হবে এবং একটি মায়ের কোলও খালি হবে না। বিশেষ করে কাউকে রাজনৈতিক কারণে জীবন বিসর্জন দিতে হবে না। সকল রাজনৈতিক দলের দলীয় বৈষম্য চিরতরে বন্ধ হবে, বিশেষ করে নতুন দলের আর্বিভাব, শিক্ষার ক্ষেত্রে সংস্কার এবং শিক্ষার গতি ফিরে আসবে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচনের ধারা পরিবর্তিত হবে, এতে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ ভোটে অংশ নিবেন। উপরোক্ত বিষয়গুলো প্রতিফলনের জন্য সময় প্রয়োজন হবে তিন (৩) বছর। উক্ত সময় পর্যন্ত বর্তমান সরকার বহাল থাকবে। জনগণের নিকট নিবেদন, আমার লেখা “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” এর রাজনৈতিক সংবিধান ধারা প্রবর্তনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমার আত্নবিশ্বাস, পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার হিসাবে “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” এর আলোকে আগামী দিনের নতুন সরকার বার বার আরো বহুবার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসবে, অথবা যে কোন দলের ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হবে। উক্ত ব্যবস্থার সিঁড়ি আমার দেওয়া “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র”। ফলে বিশেষ করে প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার হবে, প্রত্যেক নাগরিকের সুন্দর ও সুন্দরতম জীবন ব্যবস্থা সচল হবে । আমার প্রত্যাশার প্রতিফলণ-গণতন্ত্রের জয় এবং প্রমাণ স্বরূপ জনগনের প্রত্যাশা-- ১। প্রতি বছর সর্বদলীয়ভাবে ১৫ লক্ষ মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে। ২। বছরে ১.৫ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে। ৩। বিগত সরকারের সময় বিলুপ্তির পথে থাকা জাতীয় ডাক বিভাগ সচল হবে। প্রতি বছর ১.৪০ লক্ষ মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে। বছরে ৫০০ কোটি টাকা মুনাফা হিসাবে সরকারের কোষাগরে জমা হবে। ৪। শিক্ষাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। শিক্ষার মান আরোও উন্নত হবে। ৫। প্রশাসনের অস্থিরতা দূর হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে অবসরে যাওয়ার শেষ সময় ৩০ বছর অর্থাৎ আমৃত্যু পেনশন ব্যবস্থা থাকবে। তাহার অবসরের শেষ বেতন হবে তাহার পেনশন। তাহার অবর্তমানে নমিনী অথবা স্ত্রী (একাধিক হলেও) ১২ বৎসর পর্যন্ত অর্ধ বেতন প্রাপ্ত হবেন (প্রতিবন্ধী ও অপরিপক্ত ছেলে মেয়ে অথবা তৃতীয়লিঙ্গ আমৃত্যু পর্যন্ত প্রাপ্ত হবে)। ৬। বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ করে দিনমজুর, ড্রাইভার, শ্রমিক সকল ক্ষেত্রে পেনশন ব্যবস্থা থাকবে বা একাকালীন ভাতার ব্যবস্থা থাকবে। ৭। শিক্ষার সময় অসহায়, গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভাতা প্রদান এবং ঋণ ব্যবস্থা থাকবে। যাহাতে গরীব পিতা মাতার উপর নির্ভরশীল না হয়। ৮। সকল রাজনৈতিক দলীয় নেতা-নেত্রীর জন্য মাসিক ভাতা বা অনুদান নিজ দলীয়ভাবে ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া সকল দলের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা তাহার নিজ দল বহন করবে। ৯। এমপি ও মন্ত্রীদের এককালীন অনুদান ব্যবস্থা থাকবে, প্রাপ্ত ভাতার বাহিরে। তাহাদের সততার জন্য কর্তব্যের স্বীকৃতি থাকবে। ১০। প্রবাসীদের মূল্যায়ন করা। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের প্রতি নতুন সরকারের করণীয় থাকবে, তাদের প্রবাসী কার্ড, রাজনৈতিক দলীয় সদস্য সনদ এবং শ্রেণীবিন্যাস মর্যাদা সনদ স্বীকৃতি স্বরুপ প্রদান। সৃৃষ্ঠিকর্তা আমাদের সহায় হবেন।