Loading...

রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র

05. যৌথদলের রুপরেখা

“পরম করুনাময় মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করছি”

যৌথ দলের রুপরেখা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক,

বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ, ভালবাসার দেশ- হৃদয়ের দেশ বাংলাদেশ। সালাম- বরকত- জব্বারের প্রথম বাংলাদেশ- আবু সাঈদ দের রক্তে ভেজা দ্বিতীয় বাংলাদেশ- আমাদের বাংলাদেশ। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমান এই দেশ, মাছে- ভাতে-ছয় ঋতুর বাংলাদেশ। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামল দেশ- আমাদের বাংলাদেশ। ধর্ম -বর্ন- জাতিগত বৈষম্য শূন্য দেশ, আমাদের বাংলাদেশ। সাবাশ বাংলাদেশ- আমাদের বাংলাদেশ ---

আমাদের দেশ বাংলাদেশ, আমরা বাঙ্গালী এবং স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের জন্মগত অধিকারে আমরা বাঙ্গালী, বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মিলনমেলায় আমরা বাঙ্গালী - আমরা বাংলাদেশী, আমাদের ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব বাঙ্গালীর মর্যাদায় পরিপূর্ণ বাংলাদেশী। আমরা বৈচিত্রময় ছয় ঋতুর দেশের মানুষ, আমাদের জীবনযাত্রার মান অতি সাধারন, আমরা অতি সহজে সন্তুষ্ট, আমাদের কোন উচ্চ বিলাসিতা নেই বললেই চলে। কিন্তু বৈচিত্র আমাদের ধরন, বরণ ও চলন। হাতেগোনা স্বার্থান্নেষী ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিসর্জনে আমরা দিশেহারা এবং এখানেই আমরা পরাস্ত। উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী জুলুমের শাসন ও স্বৈরচারী শাসন পার হয়ে একবিংশ শতাব্দিতে পদার্পন করি। আমরা রাজনৈতিক জটিলতার কারণে লক্ষবস্তুতে পৌছাতে পারিনি। দীর্ঘ বিশটি বছর জালিম ও স্বৈরশাসকের পেশি শক্তির রোষানলে আমরা দিশেহারা এবং ক্ষতিগ্রস্থ। বিশেষ করে আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সমঅধিকারের জন্য যুগযুগ ধরে আমাদের আত্নত্যাগ ও আত্নহুতি। এই আত্নহুতি আর কতদিন চলবে, আর কত জীবন বিসর্জন দিতে হবে , আমাদের কি পরিত্রাণ হবে না ,শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমাদের দিন বদলের পালায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদ দের রক্তে রাঙ্গানো পথ আমাদেরকে বৈষম্য মুক্ত দেশ উপহার দিয়েছেন। আমরা গর্বিত, আমরা এখনো হারিয়ে যাই নাই এবং যাবোও না। আবু সাঈদদেরকে আমরা আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবো। এই বিশ্বাস নিয়ে গণতন্ত্রের পথে আমাদের যাত্রা।অবশেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচারমুক্ত স্বাধীন দেশ হিসেবে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আমাদের পদার্পন। আমাদের নীতিগত বিশ্বাস বৈষম্যহীন রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি। তবুও আমরা ঐক্যের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই, এখানেই আমাদের নীতিগত আদর্শ। আগামীদিনের পথ চলার দিক নির্দেশনা ”রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র”। আমরা বেচে থাকবো আবু সাঈদদের আত্নহুতি বিসর্জনের মাঝে। আমাদের অঙ্গীকার ঐক্যের রাজনীতি পোষন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্য ভুলে ঐক্যের রাজনীতিতে মনোনিবেশ। সকল মানুষের মুখে হাসির জন্য প্রত্যাশা, দেশ গড়ার কাজে আত্ননিয়োগ । যাহার ফলশ্রুতি ”রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” এর নতুন ধারায় ঐক্যের মাঝে সামাজিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, জাতীয় যৌথদলের সূচনা করা এবং যৌথ সংগঠন প্রথা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা আমাদের নৈতিক অধিকারের প্রত্যাশা । বর্তমান সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রে একশতটির অধিক রাজনৈতিক দল বিদ্যমান। তাহাদের দলগত পরিচয় দ্বিধাভক্ত। আবার কোন কোন দল বড় দলের উপর নির্ভরশীল ক্ষমতার ভাগাভাগিতে। ঐক্যের মাঝে তাহারা দ্বিধাভক্ত, তাদের সুনির্দিষ্ট কোন গতিপথ ছিল না, শুধু রাজনৈতিক দ্বিধাদন্ধে জরিত ছিল। যা বহুদলীয় গণতন্ত্রে মোটেও কাম্য ছিল না। ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সকল দলের দলীয় পরিচয় বা অস্তিত্ব রক্ষার পর যৌথদল বা যৌথসংগঠনে একত্বা ঘোষণা দলীয় স্বার্থ রক্ষা এবং যৌথদলের নেতিৃত্বের আসনে যোগ্য ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা দলীয় অধিকার। জনমানুষের কল্যাণে যৌথ দলীয় সংগঠনের সকল সদস্যদের (সনদ প্রাপ্ত) আর্থিক স্বচ্ছলতায় পুঃনবাসন এবং নেতা-নেত্রীদের আর্থিক সহযোগীতায় ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা রাজনৈতিক অধিকার। এই অধিকারে জনগণের মাঝে সমঅধিকার ফিরে আসবে, সামাজিক গণতন্ত্রের পরিপূর্ণতা লাভ হবে, রাজনীতিতে বৈষম্যের অবসান হবে এবং ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে আসবে। সম-অধিকার ভিত্তিতে সকলের সহযোগীতায় যৌথদল প্রতিষ্ঠিত করা, রাজনৈতিক সংগঠন প্রথা চালু করা এবং রাজনীতির জন্য রাজনীতি পূনর্বহাল করা। সকল রাজনৈতিক যৌথদলের সদস্য আহোরণ প্রক্রিয়া শুরু করা এবং তাদের মূল্যায়ন করা সামাজিক গণতন্ত্রে বহিঃপ্রকাশ। যৌথদলের রুপরেখা- ১। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট - Progressive Democrat Coalition (PDC) ২। জাতীয় ঐক্য জোট - National Unity Alliance (NUA) ৩। জাতীয় জামায়াত জোট - National Jamayat Joth. (Jamat) ৪। জাতীয় নাগরিক জোট - National People Joth. (NPJoth) ৫। জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট - National Democratic Joth. (NDJoth) ৬। জাতীয় সামাজিক কোয়ালিসন - National Social Coalition (NSC) তাছাড়া নিঃর্দলীয় সদস্যের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হবেন।