গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে ধর্মীয় আচার আচরন পালনে বিশ্বাস ও আত্নবিশ্বাসী হয়ে দেশের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে আমার এই প্রচেষ্ঠা উৎসর্গ করিলাম মানবতার আর্দশে মহা নায়ক, মহান সৈনিক শহীদ আবু সাঈদ এর বিদায়ী আত্নাকে, বাঙ্গালী জাতীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নায়ক, বাঙ্গালী জাতীর গর্ব, যাহার আদর্শে আমরা গর্বিত, যাহার আত্নত্যগের অনুপ্রেরণা লালন করে বাংলার মানুষ আমরা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখবো,
যতদিন রবে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার বহমান,
ততদিন রবে কীর্তি তোমার, সৃষ্টি তোমার, গর্ব-আমাদের।
এই আশা ব্যক্ত করে সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা প্রবর্তনে, ধর্মীয় অনুভূতির বিশ্বাসকে ধারন করে, দেশের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে জাতীগত বৈষম্য এরিয়ে ধর্মীয় আচরন বিধীতে রাজনীতির পদায়ন হিসাবে যৌথ দল অর্থাৎ সমমানের দল প্রতিষ্ঠার লক্ষে দেশের সকল রাজনৈতিক ছোট বড় দল, বাম-ডান দলগুলি এবং বড় দলগুলি একত্র করে সম- মর্যাবান দল প্রতিষ্ঠিত করে দলীয় স্বার্থ ও দলীয় ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষার বহি:প্রকাশ , সকল ধর্মীয় গুষ্ঠির নিজ নিজ ধর্মীয় নীতি নৈতিকতার ভিত্তিতে সহজ বা কমন নীতিগুলির আলোকে পদক্ষেপ গ্রহন সকলের নৈতিক দায়িত্ব, যাহার অধিকারে সামাজিক ও রাজনৈতিক নানাবিধ সমস্যার দলগত বৈষম্য দূর করা, যৌথদল দলীয় ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা দলীয় বন্ধনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা, যৌথদলীয় সম-সমান দল প্রতিষ্ঠিত করে রাজনৈতিক বহুদলীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে সামাজিক গণতন্ত্রে ধর্মীয় নীতি নৈতিকতার আদর্শ উত্তরণ তরান্বিত করা। গণতন্ত্রের পথে বাস্তবতার লক্ষে দলীয় সংগঠন প্রথা বা পদ্ধতি বাস্তবায়ন প্রধান পদক্ষেপ । জনগণকে আস্থায় আনা, বাস্তবতার নিরিখে স্বপ্ন দেখার এবং উদ্ভূদ্ধ করার জন্য অনুপ্রেরণা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রী শহীদ ছাত্র জনতার আদর্শনীতি আমাদের বাস্তমূখী স্বপ্ন দেখার জন্য আর্শিবাদ এবং পথ প্রদর্শক, যার বাস্তব পদক্ষেপে জাতীগত বৈষম্য হীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত, ধর্মীয় আদর্শের রীতি-নীতিতে রাজনীতি পরিচালিত করে নৈতিকতা আর্দশে ১৮.৪৫ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জন্য আশার আলো আমার এই প্রয়াস, যাহার ধারাবাহিক আদর্শনীতি স্বপ্ন দেখার পথ সংগঠণ প্রথা । সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে রাজনৈতিক অধিকার, সে অধিকার পথ প্রদর্শক হিসাবে আবির্ভূত, আমাদের গর্ব, আমাদের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার পথে জন মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন, নানা বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে কর্মের পথে নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ আগামী দিনের বাংলাদেশকে। আমাদের লক্ষ অর্জনে সহয়াক মহানায়কে জানাবো বিনয়ী ছালাম। তাই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ধৈর্যশীল, সহিষ্ণুতা ও ব্যক্তিত্ব বাঙ্গালী জাতিকে আদর্শবান জাতিরূপে রূপান্তর তাহার প্রত্যাশার প্রতিফলন। তাহার মহৎ জীবনের আদর্শ আমাদেরকে বাংলাদেশী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার নীতিগত প্রেরণা সহনশীলতার প্রতীক। তাহার প্রতিভা ও মেধা এবং সাধনার পরিশ্রম বাঙ্গালী জাতিকে বিকশিত করার মূলে যে প্রতিভা শক্তি সত্যিই বিস্ময়কর। তাহার মেধা শক্তির বিচক্ষণতায় একটি বৎসর অতিক্রম ও সুন্দর আচরণ বা ব্যবহারই হলো শিষ্ঠাচার ও সুন্দর জীবনের অধিকারী। পক্ষান্তরে রাজনৈতিক নতুন সংবিধান রচনায় আমার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল জনজীবনে আদর্শে ধর্মীয় আচরন বিধি ও রীতি নীতি সৃজনশীলতার ধারাবাহিক প্রতিফলণ মাত্র। বর্তমানে স্বার্থান্বেসী কিছু গণতন্ত্র বিরোধী মানুষের আচরণ পক্ষপাত দুষ্ট বলে প্রতীয়মান। ফলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার মান নিম্নমুখী এবং বিঘিœত। কিন্তু মাননীয় প্রধান উপদেস্টার সত্যনিষ্ঠ, পরোপকারিতা, দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও অধ্যবসায় ও কর্তব্য পালনে জন মানুষের দেশ প্রেম ও মূল্যবোধের আকাঙ্খা আমাদের মনে অনুভূতি জাগিয়ে তুলছেন। কোন কোন ক্ষেত্র বিষেশ তাহার মনের অজান্তে ভুল ভ্রান্তি প্রতীয়মান, কিন্তু তিনি সব সময় সকল বিষয় সচেতন। নতুন বাংলাদেশের ভিশনে সকল বিষয় ধর্মীয় আর্দশের নীতি নৈতিকতায় বাংলাদেশর নবীন-প্রবীন দল ক্ষমতায় যাওয়ার অধিকার পোষন করেন এবং বার বার ক্ষমতায় যাওয়ার সুন্দরতম পথ হিসাবে সংগঠণ প্রথা আগামী দিনের দিকনির্দেশনা, যে পথে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক অধিকার ও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা, সে পথের রাজনৈতিক নতুন সংবিধান ধারা পথ প্রদর্শক। সে অধিকারে রাজনৈতিক নতুন সংবিধান আশার আলো হিসাবে প্রতিফলণের জন্য বিনয়ের সাথে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট আমার নিবেদন, নতুন ধারার রাজনীতি প্রর্বনে আধুনিক গণতন্ত্রে ধর্মীয় আদর্শের বহিঃপ্রকাশ ও চলার পথে সাথী হয়ে যৌথদলীয় ব্যবস্থার আত্নপ্রকাশ । যার ফলে তথাকথিত সকল প্রকার রাজনৈতিক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করার মূল লক্ষ অর্জনে সহযাত্রী হিসাবে প্রত্যয় ব্যক্ত যৌথদলীয় সংগঠন ব্যবস্থা, যার বাস্তবতার নিরিখে নতুন রাজনৈতিক সংবিধান নতুন ধারার রাজনীতি ধর্মীয় রীতি নীতিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হওয়ার আশা ব্যক্ত আমার অভিমত। আমার আকুল আবেদন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি, আপনার বিচক্ষণতার জন্য রাজনৈতিক নতুন সংবিধানের আলোকে নতুন ধারার রাজনীতি জন মানুষের মঙ্গলে ও সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে বিশ্ব দরবারে মানবতার আদর্শে সাক্ষী হয়ে থাকবে। আধুনিক গণতন্ত্রের রূপকার হিসাবে আদর্শ নীতির রাজনীতি উপহার দেওয়ার ফলে বাংলার জন মানুষের মাথার তাজ হিসাবে সকলের মনিকোঠায় স্থান করে নিবেন। ইহা আমার প্রত্যাশায় প্রতীয়মান। আপনাকে বাংলার মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন, আপনার প্রতি আস্থা রেখে বলছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে দেশের উন্নয়নের ফলে উন্নত আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আমার রাজনৈতিক নতুন সংবিধান প্রতিফলণে সময়ের প্রয়োজন হবে প্রায় ৩ বৎসর। কারণ যৌথদলীয় সদস্য আহরণ এবং তাহাদের আর্থিক সহযোগীতার মূল্যায়ন বিষয় এবং যৌথদলীয় সংগঠন নেতা-নেত্রীর নির্বাচন অর্থাৎ দুইটি করে পাক নির্বাচন সহ দলীয় মূল নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় প্রয়োজন হবে দুই বৎসর,কারণ হলো ২৬৭০০টি সংগঠন এলাকার নেতানেত্রী অর্থাৎ ২,৬০২০০ জনের নির্বাচন সম্পূর্ণ করা ১ম পদক্ষেপ। তারপর ৬টি প্রধান যৌথদলীয় ও নি:র্দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন পর্যায়ক্রমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশরের আঞ্চলিক আঞ্চল নির্বাচন এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সর্বশেষ ৩০০টি আসনে সংসদীয় নির্বাচন এবং ইহার পূর্বে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে সময়ের প্রয়োজন। সকল কার্যক্রমের জন্য ৩(তিন) বৎসর সময় অতিবাহিত হবে। ইহার জন্য বর্তমান সরকারের অধিন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন সম্ভব হবে (সকল বিষয় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ “রাজনীতির নতুন ধারা উত্তরণে গণতন্ত্র” লিপিতে উল্লেখ্য)। মূল কথা হলো রাজনৈতিক নতুন সংবিধান প্রতিফলণে দেশের দারিদ্রের হার ২০% ভাগে নেমে আসবে। ছোট ছোট দলগুলি একত্রে এক কাতারে যৌথদলের অধীন মনোনিবেশ করার ফলে বহুদলের দলীয় নেতা-নেত্রীর দূর্নীতি,অপ-রাজনীতি, ধর্মীয় বৈষম্য সহ দলাদলির রাজনীতি শূন্যের কোঠায় চলে আসবে, সভা সমাবেশ আন্দোলন বিরোধী মতের রাজনীতি, দলীয় সংগঠনের কারণে শূন্যে চলে আসবে। বিষেশ করে রাজনীতির পরিবেশ অংশীদারিত্ব বজায় থাকার কারণে প্রশাসনে অপনীতি, দূর্নীতি হ্রাস পাবে। পরিবেশ বান্ধব সমাজ ব্যবস্থা প্রচলণে ধর্মীয় বিশ্ব^াস প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ হতে তধাকথিত ঘুষ, র্দূনীতি, অপসংস্কার ইত্যাদি সহ সর্বনাশা মরণব্যাধি অস্ত্র, মাদক গ্রহণ ও ব্যবহার এবং অনৈতিক ব্যবসা বাণিজ্য সমাজ হতে দূর হবে। শিক্ষায় উন্নতি লক্ষে শৈশবে ধর্ম শিক্ষা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে আদর্শবান চরিত্রের অধিকারী হবে, বিশেষ করে শিক্ষার উন্নতি সম্প্রসারিত হবে এবং শিক্ষার মান ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকবে, শিক্ষানীতি ধর্মীয় বিশ্ব^াসে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে দেশের উচ্চ শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে গমন প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। কিন্তু দেশের উচ্চ শিক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কারিগরী শিক্ষার উপর বিশেষ নজর দেওয়ার ফলে শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মীয় কালচারে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্মকে রাজনীতিতে না বলা হবে। ধর্ম যার যার, উৎসব তার নিজের ,আর রাজনীতি সকলের সম অধিকার। বিশেষ করে যার যার ধর্ম পালনে ব্যক্তি স্বাধীনতা বজায় থাকবে। কাহারো উপর কোন হস্তপেক্ষ করা হবে না বরং ধর্ম পালনে একে অপরের সাহায্যের দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। কোন ধর্মকে বা ধর্মের ব্যক্তিকে কটাক্ষ করা বা বলা নিষিদ্ধ। সকলকে সকলের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে বসবাস এবং যার যার ধর্মীয় বিশ্বাকে দেশের অগ্রযাত্রায় মূল্যায়ন করা হবে। এই আশা নিয়ে জনমানুষের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার আদর্শ সৈনিক হিসাবে আমরা গর্বিত বর্তমান যোদ্ধা, তাই বাংলাদেশ আগামী দিনের উন্নত দেশ হিসাবে ধর্মীয় বিশ্বাসে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠিত হউক এবং চিরজীবী হউক। এই কামনা বাসনা আমাদের অন্তরের অন্তস্থলে পোষণ করি। দেশের সকল আদর্শ-নীতি আদর্শ ধারার রাজনীতি নতুন সংবিধান কায়েম হউক এই প্রত্যাশা আমার এবং আমাদের। উপসংহার, যৌথদলীয় ও সংগঠন প্রথার রাজনেতিক সংবিধানে আমাদের অধিকারের স্বার্থকতা পূরণ হবে, যখন আমাদের দেশ উন্নয়নে উন্ননশীল দেশ হিসাবে ধর্মীয় আদর্শে সম-অধিকারে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানেই আমাদের প্রত্যাশা ও কৃতজ্ঞতা, আরো প্রত্যাশা বিশ্ববাসীর কাছে দেশরত্ন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে আমাদের প্রত্যাশিত নিবেদন, বাংলাদেশ গড়ার কাজে আপনাদের সহযোগিতা ও দক্ষিন হস্ত প্রসারিত হবে, আমরা বিশ্ববাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। মহান সৃষ্টিকর্তা সকলের সহায়ক হবেন, এই প্রত্যাশা আমাদের, ইনশাআল্লাহ।